• ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

ইসলামি আইনে হত্যা কখন করা বৈধ

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামি আইনে হত্যা কখন করা বৈধ

ইসলামি আইনে হত্যা কখন করা বৈধ

মানুষ মানুষকে অকারণে ও বেআইনিভাবে হত্যা করতে পারে না। আইন অনুযায়ী তথা উপযুক্ত কারণে ইসলামি রাষ্ট্র কোনো অপরাধীকে হত্যা করতে পারে।
কোনো ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারবে না। কাউকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করতে হলে তার জন্য আলাদা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ইসলামের চোখেও অপরাধ।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনা কারণে মানুষ হত্যাকে কবিরা গুনাহ (বড় ধরনের পাপ) বলেছেন। তিনি মারামারি ও সশস্ত্র ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। নবী করিম (সা.) বলেন, দুজন মুসলমান তরবারিসহ (মারণাস্ত্র)পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে পড়লে (একজন নিহত হলে), হত্যাকারী ও নিহত উভয় ব্যক্তি জাহান্নামি হবে। নিহত ব্যক্তির জাহান্নামি হওয়ার কারণ কী? জিজ্ঞেস করা হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেননা সে-ও তো প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে উদ্যোগী ছিল। অন্যজনের নিহত হওয়া তো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ব্যাপার। তার পরিবর্তে তারই হাতে সে-ও নিহত হতে পারত’। (বুখারি, হাদিস: ৩১)

ইসলামি আইনের চূড়ান্ত বিচারে মানুষকে হত্যা করা যায়, এমন ৬টি ক্ষেত্র আছে—

১. কিসাসের দণ্ড হিসেবে হত্যা করা।

২. ইসলামের জন্য যুদ্ধ করা এবং সে যুদ্ধে হত্যা করা।

৩. ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ও তা উত্খাতের চেষ্টাকারীকে হত্যা করা।

৪. বিবাহিত পুরুষ-নারী ব্যভিচার করলে এবং তা পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ ও প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হলে দণ্ডস্বরূপ হত্যা করা।

৫. মুরতাদ তথা ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারীকে দণ্ডস্বরূপ হত্যা করা।

৬. ডাকাতির কারণে অথবা নিজের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রম রক্ষার ক্ষেত্রে কাউকে হত্যা করা।

ইসলামে শুধু উপরোক্ত ৬ অবস্থায় মানুষের জীবন ও প্রাণের সম্মান নিঃশেষ হয়ে যায়। ঐ অবস্থায় তাকে হত্যা করা যায়। তবে এসবের এখতিয়ার রাষ্ট্রের।

ব্যক্তিগত হত্যার ক্ষেত্রে নিজে কখনো আগেভাগে উদ্বুদ্ধ হবে না এবং ঐ হত্যায় মানুষের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা চলবে না।