• ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

গণভবন জাদুঘরে কী কী থাকবে, জানা গেল

গণভবন জাদুঘরে কী কী থাকবে, জানা গেল

ফ্যাসিবাদের নিদর্শন সংরক্ষণ করে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের পর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। শনিবার গণভবন পরিদর্শন শেষে তারা এ কথা জানান। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে স্থপতি ও শিল্পীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণই যে ক্ষমতার আসল মালিক সেটা উপস্থাপনের জন্যই এ জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলন ছাড়াও গত ১৬ বছরে যাদের ওপর নিপীড়ন, গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে; সেই তালিকা থাকবে এই জাদুঘরে। মানুষের ক্ষোভের উপস্থাপনও থাকবে সেখানে। কিছু ডিজিটাল রিপ্রেজেন্টেশনও থাকবে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করার। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার শেরেবাংলা নগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পরিদর্শনে আসেন তিন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম।

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আহত ঢাকায়, সর্বোচ্চ মৃত্যু কোথায়

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আহত ঢাকায়, সর্বোচ্চ মৃত্যু কোথায়

সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৬২২। মৃত্যুর এই সংখ্যা হাসপাতাল থেকে নেয়া। গত ৫ সেপ্টেম্বর এ প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক বা খসড়া তালিকা। এখন তথ্য-উপাত্ত শুদ্ধ করার কাজ চলছে। এই তালিকা ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হবে। তখন আরো কিছু নাম যোগ হতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যাতেও পরিবর্তন আসবে। সরকারি হিসেবে আন্দোলনে এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৭। ৮ বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৭৩ জন আহত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম ২৩৬ জন আহত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। অভ্যুত্থানে সারাদেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৬২২। ঢাকার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩৮ জন আহত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৫৪৬ জন। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে যথাক্রমে ১ হাজার ২০৫ জন ও ১ হাজার ১৫৪ জন। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ৭১৮ ও ৫৭৭ জন। আন্দোলনে আহত ও নিহতের তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)। এমআইএসের তথ্যে দেখা গেছে, আহতদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৩৯ জন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৬ হাজার ৮৬৫ জন। হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনযায়ী আহত মানুষের বেশির ভাগ চিকিৎসা নিয়েছে সরকারি হাসপাতালে। ১৮ হাজার ২৪৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৫৫৮ জন। ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৭৩ জন আহত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম ২৩৬ জন আহত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। মৃত্যুর তালিকায় দেখা গেছে, আন্দোলনের সময় সব বিভাগেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৪৭৭ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছে বরিশাল বিভাগে, একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে মারা গেছে যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলায় মারা গেছে যথাক্রমে ২২, ১৯ ও ১৭ জন। এই আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রংপুরে। এই বিভাগে সহিংসতায় মারা যায় ৪ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা হাসপাতাল সূত্রের বাইরে অন্য সূত্র থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সহিংস ঘটনার পর ৪৪৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বাকি ১৭৯ জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৪৭৭ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছে বরিশাল বিভাগে, একজন। এই আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রংপুরে। এই বিভাগে সহিংসতায় মারা যায় ৪ জন। আন্দোলনের শুরুর দিকে পুলিশের ছররা গুলিতে বহু মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৪৮ জনের আঘাত বা জখম ছিল গুরুতর। এদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। তবে অস্ত্রোপচার ও সব ধরনের চিকিৎসা শেষে কম-বেশি শারীরিকভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অন্তত ৫২৫ জন। এমআইএসের হিসাবে দেখা গেছে, চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৬৪৭। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৬০৩ জন। দ্বিতীয় চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন। বাকি ৬ বিভাগে চোখে গুরুতর আঘাত লাগা মানুষের সংখ্যা ২২। তাদের মধ্যে কেউ দুই চোখের, আবার কেউ এক চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য হারাতে পারে।

দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী মহানগরীতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর তালাইমারি মোড় থেকে তাদের আটক করে মারধর করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। আটককৃত হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও মৃত চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুর খাসের হাট গ্রামের রফিজুল হক এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়ার সনেট মহল্লা-পঞ্চবটি শেখেরচকের ছাত্রলীগ কর্মী সানি (২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আরমান এর অনুসারী)। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, দুজনকে থানায় সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

যেদিন থেকে নিয়মিত চলবে মেট্রোরেল

যেদিন থেকে নিয়মিত চলবে মেট্রোরেল

নিয়মিত শিডিউলে আগামী রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে চলবে মেট্রোরেল। এদিকে মেট্রোরেল বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এতে লাইনে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। কিছু কারিগরি ইস্যু নিয়ে কাজ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঐদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির কথা বলা হলেও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটিরও কম বলা হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে মেট্রোরেল চালু হলেও মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আপাতত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি

পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন বিডিআর অফিসারসহ মোট ৭৪ জনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিডিআর নায়েক (অব:) সালাউদ্দিন গাজী। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ইতিহাসের ন্যাকারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিরপরাধ। সুতরাং আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাই। বিডিআরকে পূর্বের নাম, পোশাক এবং পূর্বের প্রেরণায় নিয়ে যেতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও অসুস্থদের জন্য দোয়া করা হয়। নায়েক (অব:) সালাউদ্দিন গাজীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিডিআর সদস্য শফিকুর ইসলাম জামাল, মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, বিডিআর পরিবারের সন্তান তারেক আজিজসহ প্রমুখ।

রেমিটেন্সের পালে হাওয়া

রেমিটেন্সের পালে হাওয়া

চলতি আগস্ট মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেকর্ড পরিমাণ ২০৭ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশী মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিটেন্সের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বা রিজার্ভ সংকট দূর হবে। বাড়বে ডলারের সরবরাহ এবং গতি ফিরবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। বিশেষ করে যে কোনা আমদানিতে সহজে ঋণপত্র বা এলসি খোলার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। শক্তিশালী হবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরই রেমিটেন্সে সুবাতাস বইতে শুরু করে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে জুলাই মাসে প্রবাসীরা রেমিটেন্স না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছিল। ১৯-২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকা অন্যদিকে রেমিটেন্স শাটডাউনের কারণে গত মাসে রেমিটেন্স প্রবাহে যে ভাটা পড়েছিল তা আগস্টে এসে অনেকটাই কেটে গেছে বলে মনে করেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী (বাংলাদেশী) কাজ করছেন। প্রবাসীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আদায় হয়ে থাকে। রেমিটেন্সের এই অর্থে রিজার্ভ বাড়ে এবং শক্তিশালী হয় দেশের অর্থনীতি। কিন্তু বৈশ্বিক সংকটের কারণে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে রিজার্ভ কমে যাওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে দেশের অর্থনীতি। এ ছাড়া বিগত সময়ে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় না থাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে প্রবাসী এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থাৎ তাঁদের আস্থা ফিরে এসেছে। এখন এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট কেটে যাবে বলে মনে করেন তাঁরা। এ জন্য সর্বক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণ আদায় এবং বিগত দিনে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্টের ২৮ দিনে বৈধ পথে ২০৭ কোটি ১০ লাখ (২.৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। রেমিটেন্সের এ অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি এসেছে। গত বছরের (২০২৩) আগস্টে ২৮ দিনে রেমিটেন্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিটেন্স আসে, যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স। এদিকে রেমিটেন্স বাড়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আগস্ট মাসের রিজার্ভের এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস বা মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৬৫ কোটি মার্কিন ডলার (২৫.৬৫ বিলিয়ন)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন দুই হাজার ৬০ কোটি ডলার (২০.৬০ বিলিয়ন)। অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বাজেট এবং ঋণ সহায়তা চাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আইএমএফের কাছে তিন বিলিয়ন ডলার চাইবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের জন্য ইতোমধ্যে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য আইএমএফের স্টাফ মিশন আগামী মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফর করতে পারে। তখন বাড়তি ঋণ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আাইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছেন, বিদ্যমান কোটার বাইরে গিয়ে তারা বাংলাদেশকে কত টাকা ঋণ দিতে পারে তা মূল্যায়ন করছে। এদিকে, মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও দুই বছর ধরে রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বিপিএম-৬ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত ২১ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার। গত মাসে মূল্যস্ফীতি অনেক ছিল। ভোক্তা মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় এক দশমিক ৯৪ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর আগের অর্থাৎ শেখ হাসিনার সরকার দেশের ঘাড়ে ১৫৬ বিলিয় ডলার স্থানীয় ও বিদেশী ঋণ রেখে যান। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৮৮ বিলিয়ন ডলার ও বাকি ৬৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ঋণ। আগের সরকারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততায় আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ঋণ খেলাপির কারণে ব্যাংকিং খাত ভঙ্গুর পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু দ্রুত ও কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে। ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব খাতে সংস্কার আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাকা ও ডলারের বিপরীতে পলিসি রেট বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, ব্যাংকিং খাতের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজেট সহায়তার জন্য এটি উন্নয়নে সহযোগীদের দীর্ঘদিনের পরামর্শ রয়েছে বলে মনে করা হয়। এদিকে রেমিটেন্সের গতি বাড়লেও ডলার সংকট পুরোপুরি দূর হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ জন্য ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা বেঁধে দিয়েছেন ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানরা। এর আগে ক্রলিংপেগ পদ্ধতিতে ১১৭ টাকা ডলারের রেট নির্ধারণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে কোনো ব্যাংক ডলার কেনাবেচায় ১২০ টাকার বেশি চার্জ করতে পারবে না। ট্রেজারি প্রধানরা সম্প্রতি আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা ঘোষণা করেছেন, ব্যাংকগুলো রেমিটেন্স ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ১২০ টাকা উদ্ধৃত করবে এবং এ হার আন্তঃব্যাংক ও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। রপ্তানি আয় নগদায়নের জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুসরণ করবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ক্রলিংপেগ এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজম অনুসারে ১১৭ টাকার মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যান্ড যোগ করে ব্যাংকগুলো ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেই অনুযায়ী ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১২০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে।

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিরাপত্তা দেবে সরকার

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিরাপত্তা দেবে সরকার

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আপনারা ব্যবসা করেন, কারখানার নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কারখানার নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী সবাই নিয়োজিত আছে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে এক বৈঠকে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের তিনি এ আশ্বাস দেন। ব্যবসায়ের পরিবেশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বায়ারদের ভালো পরিবেশ দেওয়া হবে। পরিবেশ মানে রোদ-বৃষ্টি নয়, এক কথায় ব্যবসার পরিবেশ। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ার জন্য সবকিছু করব। বায়ারদের আস্থার অভাব ছিল- এটি মিটআপ হয়েছে। বৈঠকে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, চলমান বন্যা ও ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন ব্যাহত ও পণ্যের শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অর্থসংকটের কারণে অনেক মালিক বেতন দিতে পারবে না। এ সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহায়তায় তার ইমেজ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে চান ব্যবসায়ীরা। নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক দশক পেরোলেও এখন পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন করে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া প্রসেঙ্গ পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এটা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি সারাবিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। তার ব্র্যান্ড ইমেজ কাজে লাগিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে চাই। তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কারখানার নিরাপত্তা জরুরি। তবে এটা সমাধান হয়ে যাবে। বায়ারদের আস্থার অভাব ছিল। এটিও কেটে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বায়ারদের সঙ্গে কথা বলবেন- এটি বড় পাওয়া। তেল-চিনির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক : অন্যদিকে দেশের ছয় বৃহৎ ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিত্যপণ্যে দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যবসাবাণিজ্যে ব্যাড (খারাপ) প্র্যাকটিস কমাতে হবে। ব্যবসায়ীদের আশ^াস দিয়ে তিনি বলেন, এলসি খোলা ও এলসি মার্জিন কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মতবিনিময়সভায় দেশবন্ধু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ও সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে প্রতি কেজি চিনিতে ব্যবসায়ীদের ৪২ টাকা ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স পরিশোধ অনায্য উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ রকম নেই। বিদ্যমান ভ্যাট ও ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান তারা। সারাহ কুকের সাক্ষাৎ : গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সরকার অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার খুব সহায়ক ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্য ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার এবং পুঁজিবাজার সংস্কারের মতো সংস্কারে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। এগুলো আমাদের জন্যও খুব তাৎক্ষণিক উদ্বেগ। কারণ আমরা যদি সেসব সংস্কার না করি, তাহলে এটি আমাদের জন্য কঠিন হবে। এনবিআর ভবনে বৈঠক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজ রাজস্ব আদায় করা। তবে মানুষকে ভোগান্তি না দিয়ে নিয়মমাফিক উপায়ে সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণ করতে হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোয়া দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, এনবিআরের বিভিন্ন শাখার সদস্যসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের শিল্পবাণিজ্যের উন্নয়নে এনবিআরের ভূমিকা আছে। কিন্তু আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম। এটা বাড়াতে হবে। নিজেদের ব্যবহারের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সবসময় ঋণ নিয়ে আমরা চলতে পারব না। এনবিআরের প্রসারে মার্কিন ট্রেজারার বিভাগের প্রস্তাব প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। প্রস্তাব দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কোনো যাচাই-বাছাই না করে হ্যাঁ বলে দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশেও এ খাতে যারা এক্সপার্ট, তাদের সঙ্গে কথা বলব। এ ছাড়া ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটের সংস্কারের জন্য ব্রিটিশ দূত প্রস্তাব দিয়েছেন বলে উপদেষ্টা জানান।

রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গতি বেড়েছে। আগস্ট মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে বৈধ পথে ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার, ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৫৮ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। রবিবার (২৫ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি আগস্ট মাসের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগস্টের ২৪ দিনে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। গত বছরের (২০২৩) আগস্টে ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩২ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

দুর্নীতির গল্পে ঋত্বিক-শোলাঙ্কির জুটি, উঠবে বাস্তবচিত্র

দুর্নীতির গল্পে ঋত্বিক-শোলাঙ্কির জুটি, উঠবে বাস্তবচিত্র

নতুন জুটি বেঁধে পর্দায় আসছেন টালিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ও শোলাঙ্কি রায়। তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে একটি ক্রাইম থ্রিলার ছবিতে। মৈনাক ভৌমিকের নির্মিত এই ছবির গল্পে থাকছে বেশ কিছু চমক। জানা গেছে, ছবিটির নাম হবে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’। সেখানে ঋত্বিক-শোলাঙ্কির রসায়ন এনে দেবে এক নতুন ধারা। কারণ, ছবির গল্পটি নেওয়া হবে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে। নতুন এই ছবিতে এবার মাদককাণ্ডে জড়িয়ে পড়বেন ঋত্বিক। সঙ্গে রয়েছেন শোলাঙ্কিও। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে ছবিটি নিয়ে কথা বলেন নির্মাতা ভৌমিক। শুধু তাই নয়, বক্তব্যে ছবির গল্পের রহস্যও রেখে যান নির্মাতা। জানান, ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তীর চরিত্রের নাম সত্য, পেশায় একজন সাংবাদিক। অন্যদিকে তার স্ত্রীর চরিত্রে থাকবেন শোলাঙ্কি রায়। নির্মাতার কথায়, ‘সত্য মাদকচক্র নিয়ে একটি খবর ছাপাতে চায়। কিন্তু তাতে একজন রাজনীতিবিদ জড়িত থাকায় সেই খবর ছাপা হয় না। উল্টে সে চাকরি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এরপরই তার বাড়ি এসে তার এক বন্ধু মারা যায়। জানা যায় অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। একইসঙ্গে তা থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধার করা হয়। আর এই কেসে জড়িয়ে পড়ে সত্য এবং তার স্ত্রী। সেখান থেকে তারা কীভাবে বের হয় সেটা নিয়েই হবে এই ছবি।’ জানা গেছে, অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় বর্তমানে ‘বিষহরি’ নামের একটি সিরিজের শুটিং করছেন। সেখানে তার সঙ্গে রোহন ভট্টাচার্যকে দেখা যাবে। হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে সিরিজটি। এটার শুটিং শেষ করে মৈনাকের ছবির কাজ শুরু করবেন অভিনেত্রী। এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই ছবির শুটিং শুরু করা হবে বলে খবর। ঋত্বিক এবং শোলাঙ্কি ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপুর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে লোকনাথ দে, সুজন মুখার্জী, রতন সরখেল, প্রমুখ। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন প্রদীপ কুমার নন্দী।

চোখের পলক পড়ার আগে ফ্রান্সের গোল, ম্যাচ জিতল ইতালি

চোখের পলক পড়ার আগে ফ্রান্সের গোল, ম্যাচ জিতল ইতালি

রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজালেন। চোখের পলক না পরতেই ইতালির জালে বল! প্যারিসের গ্যালারিতে তখন ফরাসি সমর্থকদের উল্লাস। তবে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের নতুন আসরে শুভসূচনা করেছে ইতালি। প্যারিসে শুক্রবার রাতে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম মিনিটেই ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন বারকোলা। সতীর্থের ব্যাক-পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে অপেক্ষায় ছিলেন ইতালির ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো। তার সামনে থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন বারকোলা। ডান পায়ের শটে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ১৩ সেকেন্ডে করা এই গোলটি ফ্রান্সের ইতিহাসে এবং নেশন্স লিগে দ্রুততম। ফ্রান্সের হয়ে আগের দ্রুততম গোলের রেকর্ড ছিল বের্নাদ লাকুম্বের। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ইতালির বিপক্ষেই ৩৭ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে নেশন্স লিগে এই রেকর্ডটি ছিলো সুইজারল্যান্ডের হারিস সেফেরোভিচের। তিনি ২০২২ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৭ সেকেন্ডে গোলটি করেছিলেন। ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে ইতালি। অবশ্য ষষ্ঠ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো তারা। সতীর্থের হেড পাসে কাছ থেকে ডিফেন্ডার ফ্রাত্তেসির হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে মাতেও রেতেগির হেড চলে যায় ওপর দিয়ে। পরের মিনিটে সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। এমবাপ্পের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। ৩০ মিনিটে চমৎকার গোলে সমতায় ফেরে ইতালি। টোনালির ফ্লিকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে জাল খুঁজে নেন ডিমারকো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাসপাদোরির শট ঠেকান ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। ৫০তম মিনিটে দারুণ আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ইতালি। রেতেগির পাসে ছুটে গিয়ে বক্সে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ফ্রাত্তেসি। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইতালি। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে ফরাসি ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রাসপাদোরি। এর মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেলো ইতালি। মাঝে তিন ম্যাচের দেখায় সবগুলোতেই হেরেছিল ইতালি। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইসরায়েলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। ম্যাচে জোড়া গোল করেন কেভিন ডে ব্রুইন।

#

ফেব্রুয়ারিতে চালু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, যেসব সুবিধা হবে

#

এবারের নির্বাচন পাতানো ছিল না : কাদের!

#

আগামী সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল!

#

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ!

#

বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিচ্ছে ইসি!