• ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন যেভাবে

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২১ আগস্ট ২০২৪

নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন যেভাবে

নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন যেভাবে

জীবদেহে শক্তির প্রধান উৎস হলো খাবার বা খাদ্য। আমরা যেসব বস্তু আহার করি তাকে আহার্য সামগ্রী বলে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রতি ১০ জন মানুষের মাঝে একজন অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, পাঁচ বছরের কম বয়সীরা, অপেক্ষাকৃত কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ এই সমস্যার প্রধান শিকার।
খাবার যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তা শরীরের সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়ে। কারণ খাবারে সামান্য গড়মিল হলেই সেখান থেকে পেটের পীড়াসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে খাদ্যের কারণে সৃষ্ট গণ্ডগোলের পর নানা ধরনের আলাপ-আলোচনা ওঠে। জনগণও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, পরিবার চাইলেই যথাযথভাবে খাবার সংরক্ষণ করার মাধ্যমে খাদ্য থেকে সৃষ্টি রোগবালাইকে প্রতিরোধ করতে পারে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মেনে চলা উচিৎ। যেমন-

(২) রান্না করার সময় যেভাবে সতর্কতা মানতে হবে

রান্না করার সময় নিজের এবং খাদ্যদ্রব্যের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অন্যতম মৌলিক শর্ত। কিন্তু এর বাইরেও কাঁচা খাবার ও রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।

উদাহরণস্বরূপ, কাঁচা মাংস, সি ফুড, এমনকি ডিম থেকে শুরু করে রেডি-টু-ইট (যা এখনই খাওয়া যাবে) খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সেজন্য, যে বোর্ডের ওপর রেখে কাঁচা মাংস কাটা হয়, সেটি যথাযথভাবে না ধুয়ে তাতে ফলমূল বা শাকসবজির মতো খাবার কাটা-কুটি করা উচিৎ না।

এছাড়া, মাংস, পোল্ট্রি, ডিম ও সি ফুড রান্না করার সময় একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে তা যেন অন্তত ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, খাবার সংরক্ষণের বেলায় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে ও ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলে খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় না। চলবে...

সূত্র: বিবিসি বাংলা