• ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

লিপ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২১ আগস্ট ২০২৪

লিপ অয়েল ব্যবহারের  উপকারিতা

লিপ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা

ঠোঁটের শুষ্ক ভাব কাটাতে আমরা অনেক সময়ই লিপ বাম ব্যবহার করি। ঠোঁটে মসৃণতা এবং ঔজ্জ্বল্য আনতে লিপ গ্লসের ব্যবহারও অজানা নয়। কিন্তু এই দুটোর কোনোটাই ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারে না।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিপ অয়েল বা ঠোঁটের তেল ব্যবহার করতে।কিছু কিছু লিপ অয়েল আছে যেগুলো লাগাতে পারেন।  এটি ঠোঁটের আর্দ্রতার পাশাপাশি ঠোঁট রাঙানোর কাজ-ও করে থাকে। এই বিশেষ তেলের প্রলেপে ঠোঁট শুধু নজরকাড়া হয়ে ওঠে না, যত্নেও থাকে।

লিপ অয়েল কী?

ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের তেল। এতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক তেল। ঠোঁটকে গভীর আর্দ্র ও যত্ন রাখতেই এর ব্যবহার হয়।

বাম ও গ্লসের সঙ্গে তফাত কোথায়?

লিপ বাম একটু চটচটে ও ঘন হয়। বাম ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অন্য দিকে, লিপ গ্লসে ঠোঁট কিছুটা আকর্ষণীয় ও চকচকে দেখায়। কিন্তু, এতে ঠোঁটের বাড়তি কোনও উপকার হয় না। কিন্তু লিপ অয়েল ঠোঁটকে দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা দিতে ও যত্নে রাখতে পারে।

কেন ব্যবহার করবেন লিপ অয়েল?

১. সাধারণত যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের ঠোঁটও শুষ্ক হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষায়, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে ত্বক ও ঠোঁটে আর্দ্রতা কমে যায়। আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণে বাম ব্যবহার করেন অনেকে। তবে লিপ অয়েলের ব্যবহারেও ঠোঁট আর্দ্র থাকে।

২. ধূমপান করার ফলে অনেকেরই ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে। রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত লিপ অয়েল ব্যবহারে কালচে ছোপও দূর হয়।

৩. লিপ অয়েল তৈরিতে প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার হয়। সেই তেলের গুণেই ঠোঁট নরম ও আর্দ্র থাকে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন

যারা চান, ঠোঁটে ভিজে ভাব থাক, ঠোঁট উজ্জ্বল দেখাক, তারা লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপ অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন। পার্টিতে উজ্জ্বল কোনও পোশাক পরলে তার সঙ্গে ম্যাট লিপস্টিকের বদলে গ্লস ব্যবহার করলে ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপ অয়েল লাগাতে পারেন। চাইলে লিপস্টিক ব্যবহারের আগেও লিপ অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন।