• ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন, কড়া জবাব স্বস্তিকার

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন, কড়া জবাব স্বস্তিকার

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন, কড়া জবাব স্বস্তিকার

আর জি কর কাণ্ডে একদিকে যখন নানা প্রতিবাদে মুখর সকলে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ প্রতিবাদের বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে মিম শেয়ার করছে।
সম্প্রতি, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির রাত দখল কর্মসূচিতে হাসিমুখে ছবি তোলা ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিনেত্রী অবশ্য কড়া জবাব দিতেও পিছপা হননি। এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হিসেবে ট্যাগ দেওয়ার বিষয়ে কড়া জবাব দেন তিনি।

সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি লিখেছেন, ‘কাউকে কমরেড বলে সম্বোধন করলে আমি নিশ্চিত লাল, এক দশক বা তার একটু কম বেশি আগে পরে, এক জোড়া চোটির ছবি দিয়েছিলাম বলে আমি সবুজ, ওহ সরি মাঝে দুটো চকলেট ও নিয়েছিলাম। ওহ সরি আমার কলিগ সায়নি কে কংগ্রেস ও বলেছিলাম। ওহ সরি এখন আবার সবুজ না বলে নতুন শব্দ হলো চটি-চাটা। রং দে তু মোহে গেরুয়া গান টা গাইলে আমি গেরুয়া।’

রাজনৈতিক দলের সমর্থনের বিষয়ে এ অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আজাদি স্লোগান তুললে আমি জেএনইউ- ওহ না না ওরা তো কোন দল না, ভুলে যাই। আর কিছু বাদ পড়ল? কংগ্রেস বোধহয় কারুর সাতে পাঁচে থাকেনা, ওরা কোনোদিন গালাগাল দেয়নি। মনে হয় ওরা এই সব আই-টি সেল জাতীয় ব্যাপারে খরচা কম করে। এই যে মাস পিটিশন বা মাস কনভেনশন টাইপ এর মাস নোংরামো, মাস গালাগাল, মাস ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, মাস মিম বানানো, মাস কার্টুন আঁকা প্রতিযোগিতা- এইসব করতে তো খরচা লাগে। আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় কী আমরাই গালাগাল খাচ্ছি?’

শেষে তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিবাদ করছেন না, এসবের আবার কী দরকার ভেবে, তারা এই ব্যাপারটা একটু ভেবে জানাবেন তো। কমেন্ট সেকশন যেখানে গালাগাল দিচ্ছেন সেখানে জানিয়ে দেবেন, ওটা সর্বদা খোলা থাকবে। আগে থেকে থ্যাংক ইউ বলে দিলাম। কাল সকাল থেকে আবার ফুটেজ খেতে রাস্তায় নামতে হবে, তাই আর সময় পাবো না। এমনিও ঘুম আসছেনা, ভাবলাম কাজ টা সেরে ফেলি।’

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।