• ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ১৯ আগস্ট ২০২৪

সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ

সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সময় মিডিয়া লিমিটেড এবং এর পরিচালক শম্পা রহমানের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। আজ সকালে রিট আবেদনটি করা হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম ও অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ। সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।

এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে রিট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। যার শুনানি আগামী ২২ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে।

লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য- এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল।

এরপর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। তাদের কাছে ৭৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ আহমেদ জোবায়েরের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের পরিবারের কাছে থেকে যায়।