আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বালি উত্তোলন, পাহাড় কাটা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, রেলপথ, নৌ-পথ ও সড়ক পথে মাদক পাচার রোধ এবং বন্য হাতি থেকে জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি অটোরিকশার চেয়ে অনিবন্ধিত অটোরিকশার সংখ্যা বেশি। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গাড়িগুলো দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী পরিবহন করছে। গাড়িগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় না এলে বিআরটিএ ও জেলা পুলিশ শিগগিরই অভিযান শুরু করবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি অটোরিকশা আটক করে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও উত্তর চট্টগ্রামের কোনো উপজেলার কোথায় ডাম্পিং স্টেশন করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জায়গা খুঁজে জেলা প্রশাসনের কাছে তালিকা দিলে যাচাই-বাছাই করা হবে।
সভায় জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। থানাগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী থানাগুলোর ওসি পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানাগুলো আবার নতুনভাবে সাজবে। থানায় গিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাই সমান সেবা পাবে।
সভায় এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক শাহ সুফি নুর আলম সরকার, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন ফায়িজ, বিজিবির সহকারী পরিচালক মফিজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাবের এএসপি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, কোস্টগার্ড প্রতিনিধি লে. কর্নেল মোসাব্বির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।