• ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

অস্তিত্ব রক্ষায় ভাঙন রোধে নেমেছে গ্রামবাসী

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অস্তিত্ব রক্ষায় ভাঙন রোধে নেমেছে গ্রামবাসী

অস্তিত্ব রক্ষায় ভাঙন রোধে নেমেছে গ্রামবাসী

সরকারি সহায়তা না পেয়ে নিজেরা টাকা তুলে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কালজানি নদের ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, বারবার সরকারি দফতরে যোগাযোগ করেও কোনো সহায়তা পাননি। এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদার টাকায় বালুভর্তি বস্তা ফেলে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরছেন বালু, কেউ ফেলছেন নদীর পাড়ে। এভাবে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা ভাঙনকবলিতদের। গত ৪ মাস ধরে দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙন চলছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও একরের পর একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙনকবলিতরা জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধ করে সম্পদ রক্ষার চেষ্টা তাদের।

স্থানীয়দের দাবি, তাদের এ চেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে বন্ধ হবে ভাঙন। আর এতেই রক্ষা পাবে ফসিল জমিসহ ঘরবাড়ি। 

উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার মনছেদ আলী বলেন, আমাদের এলাকার ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমরা নিজেরা কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তা কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছি। তারপরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, এই এলাকার দুধকুমার নদ গত ২-৩ মাস ধরে অব্যাহত ভাঙছে। প্রায় তিনশ ওপর বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কয়েকশ হেক্টর ফসিল জমি ফসলসহ নদে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে তিনটা ক্যাম্প  ও বিদ্যুৎসহ সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানকার কেটে খাওয়া সীমান্তবাসীর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা। সার্বিকভাবে কৃষি জমি ও বাড়িঘরের জন্য কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন না। সরকারি কোনো স্থাপনা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তখন কিছুটা কাজের অনুমতি পান বলেও জানান তিনি।

জেলায় গত চার মাসে দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।