• ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

৫ বছরেও চালু হয়নি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৫ বছরেও চালু হয়নি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার

৫ বছরেও চালু হয়নি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার

জয়পুরহাট পৌরসভায় আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। অথচ পৌরশহর পরিচ্ছন্ন রাখতে আধুনিক পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারটি এখনো চালু হয়নি। এ জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তদন্ত করে দ্রুত পরিশোধনাগারটি চালুর দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের আগস্টে তৃতীয় নগর-পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারের কাজ শুরু হয়। এর আগে ৪ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার ৯২২ টাকায়। এরপর ৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের আগস্টে নির্মাণ সম্পন্ন হলে পরিশোধনাগারটি বুঝে নেয় পৌরসভা।

তবে নির্মাণের পর থেকে এই পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারটির দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখতে পাননি এলাকাবাসী। শহরের সব বর্জ্য ফেলা হয় পাহাড়পুর রোডের খনজনপুর এলাকায় পৌরসভার ভাগাড়ে। সরকারের ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

খনজনপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে পাহাড়পুরের পর্যটকসহ নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার পাশের ভাগাড়ের ময়লার দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর ধরে শহরের সব ময়লা-আবর্জনা এই ভাগাড়ে ফেলা হয়। দুর্গন্ধে এখানে বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার বৃদ্ধ-শিশুসহ সব মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অথচ কয়েক বছর আগে কাদিরপুরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার করে ফেলে রাখা হয়েছে।

কড়ই কাদিরপুর এলাকার আনোয়ার সাদাত, মনোয়ার হোসেন, আবদুল মুমিন বলেন, পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারটি নির্মাণের পর ৫-৬ বছর হলো পড়ে আছে। পৌরসভার গাফিলতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে এলাকা উন্নত হবে, কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

পৌরসভার পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী ফারুক হোসেন জানান, এই প্রকল্পের শুরু থেকে আমি আছি। কাজ শেষ হয়েছে ৫ বছর আগে। কিন্তু এখনো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এটি কবে চালু হবে, আমি বলতে পারব না। এটা পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। তারা আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়, আমরা সেভাবে চলি।

পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, শহরের বর্জ্য এখানে ফেলা হয় না। কারণ এখানে বিভিন্ন বর্জ্য, পলিথিন, প্লাস্টিক বাছাইয়ের প্রযুক্তি নেই। এ কারণে এটি এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি।

জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝরনা জানান, জয়পুরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা খনজনপুর এলাকার রাস্তার পাশে ফেলা হয়। এতে দুর্গন্ধে সাধারণ জনগণ বিড়ম্বনায় পড়ে ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। বিগত সরকারের আমলে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা কেন পরিশোধনাগারটির চালুর পদক্ষেপ নেননি? এখন নতুন প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ে কীভাবে চালু করা যায়, সেই চেষ্টা করা হবে।