• ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এক গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা শাখার উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদের সভাপতিত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ, আহত, বন্যা দুর্গতদের জন্য দু’আ, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, পতিত স্বৈরশাসক ও তার সহযোগীসহ সব অপরাধীদের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ্ আমিন, মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল বিন হায়দার।

গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। এ কারণেই শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে কীভাবে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া যায় তার চিন্তা করছিল। প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে ভারতে পালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেনি। কারণ দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিল না। তার চিন্তাই ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল না। 

পরিশেষে ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শেষ করেন।