• ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

চাঁদা না পেয়ে ভেঙে দেওয়া হলো প্রবাসীর ঘরের সিঁড়ি!

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২৬ আগস্ট ২০২৪

চাঁদা না পেয়ে ভেঙে দেওয়া হলো প্রবাসীর ঘরের সিঁড়ি!

চাঁদা না পেয়ে ভেঙে দেওয়া হলো প্রবাসীর ঘরের সিঁড়ি!

স্বামী প্রবাসে। দেশে দুই সন্তান নিয়ে থাকেন সুমি আক্তার। সন্তানদের নিয়ে ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিল তার। কিন্তু আসল বিপত্তি বাঁধে জমি কিনে বাড়ি করতে গেলেই। সুমির অভিযোগ- বাড়ি নির্মাণের শুরু থেকেই স্থানীয় চাঁদাবাজদের রোষানলে পড়েন তিনি। চাঁদা দাবির পাশাপাশি তাদের মাধ্যমে বেশি দামে নির্মাণ সামগ্রী কিনতে বাধ্য করতেন তারা।
এ অবস্থায় কোনোভাবে বাড়ি নির্মাণ শেষ করেন সুমি। কিন্তু এরপরও সুমির পিছু ছাড়েননি তারা। এবার ঘরের সিঁড়ি ব্যবহারের জন্য পুনরায় দাবি করতে থাকেন চাঁদা। সেই চাঁদা না পেয়ে ভেঙে দেওয়া হয় ঘরের সিঁড়ি। এতে করে চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে জীবন।

ঘটনাটি চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা এলাকার। সম্প্রতি পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী রুহুল আমিনের দুইতলা বিশিষ্ট বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আদালতে মামলাও করেছেন রুহুল আমিনের স্ত্রী সুমি আক্তার। যেটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

সুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। আমি দুই সন্তান নিয়ে একটি জমি কিনে বাড়ি করেছি। বাড়ি নির্মাণের শুরু থেকেই এলাকার ছৈয়দুল আলম জাফর, আক্তার আহমেদ, ওসমান গণি, মোহাম্মদ জামিলসহ কয়েকজন মিলে বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবি করতেন এবং নিজেদের ইচ্ছেমতো বেশি দামে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করার জন্য বাধ্য করতেন। কোনোভাবে বাড়ি করার পর এখন সর্বশেষ সিঁড়ি ব্যবহার করার জন্য চাঁদা দিতে না পারায় আমাদের চলাচলের একমাত্র সিঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার দুটি সন্তান স্কুলে যাওয়া-আসা করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে। এখানেই শেষ নয়, আমাদের পানির ট্যাংক ছিদ্র করে দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আমরা ঘরের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাইরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পরে ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। এখন আমার বাড়ির প্রধান দরজার সামনে দেয়াল দেওয়া হচ্ছে। আমি এসব অন্যায়ের বিচার চাই।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদাশু শেখর হালদার বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর ফোন পেয়ে আমরা একাধিকবার তাদের উদ্ধার করেছি। স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের বিরক্ত করতো বলে শুনেছি। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী আদালতে মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।

স/প্র