• ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | ৩ কার্তিক ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে শ্যালককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে শ্যালককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে শ্যালককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে স্ত্রী অতিরিক্ত সচিব সায়েলা ফারজানার চাচাতো ভাইকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে মনিরুলের স্ত্রী ফারজানার চাচাতো ভাই গোপালগঞ্জের মিঞা মো. নুজহাতুল হাচানকে তুলে নিয়ে পাঁচদিন আটকে রেখে নির্যাতন করানো হয় ডিবি সদস্যদের দিয়ে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পেনাল কোডে দুটি মামলাও দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তরা বলছেন, নির্যাতন নয়, প্রতারণার কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি।

ভুক্তভোগী মো. নুজহাতুল হাচান একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করতেন, সম্পাদনা করেন ক্যাম্পাসভিত্তিক একাট ওয়েবসাইট।

নুজহাতুল জানান, যে সংবাদের কথা বলা হচ্ছে, সেটার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ৩১ মে তাকে তুলে নিয়ে পাঁচদিন আটকে রেখে নির্যাতন করে ডিবি। সে দৃশ্য ভিডিও কলে দেখানো হয় ফারজনাকে। পরে মুচলেকায় মুক্তি দিলেও দুই মামলায় জেল খাটতে হয় বছরখানেক।

এ ঘটনায় মনিরুল ও ফারজানাকে অভিযুক্ত করেন নুজহাতুল। তিনি বলেন, এর পেছনে ছিলেন মনিরুলের ভায়রা তখনকার ডিবি উত্তরা জোনের ডিসি কাজী সফিকুল আলম, এসি সাহিদুল ও নাম না জানা এক এডিসি। বন্ধ করে দেওয়া হয় তার ওয়েবসাইটি।

ভুক্তভোগী আরো বলেন, স্টুডেন্ট জার্নাল নামে আমার একটি পত্রিকা ছিল। ঐ অফিসে মনিরুলের আপন শ্যালক রেজোয়ানুল আলম শাহীন ডিবি নিয়ে গিয়ে আমার অফিস তছনছ করে সব নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ করি। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জননিরাপত্তা বিভাগকে। তবে আমাকে না ডেকেই অভিযুক্তদের নির্দোষ বলে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক সুস্মিতা পাইক বলেন, নুজহাতুলকে যখন ডাকা হয় তিনি নিজে না এসে ইমেইলের মাধ্যমে জবাব দেন। এরপরে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাহলে কমিশন সরকারের কাছ শুধু প্রতিবেদন চাইতে পারে।

এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অপরাধ করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে কাউকে আটক করে নির্যাতন করতে পারে না, এটা বেআইনি।

এ ঘটনায় মনিরুলের স্ত্রী ফারজানা বলেন, ভুয়া কনটেন্ট বানিয়ে নানা সময়ে চাঁদা দাবি করেছেন নুজহাতুল। আর নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করেছে তৎকালীন ডিবি ডিসি।

ডিবি উত্তর জোনের সাবেক ডিসি কাজী সফিকুল আলম বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। নুজহাতুল আমার শ্যালক হয়। তার সঙ্গে আমার অনেক খাতির।

তবে এখনো নানা হুমকির মুখে নুজহাতুল আত্মগোপনে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, এখনো তার বিরুদ্ধে নানা থানায় হচ্ছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। আটকিয়ে রাখা হয়েছে তার পাসপোর্টও।