• ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

অনিয়মিত নাগরিকদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলা‌দেশ

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনিয়মিত নাগরিকদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলা‌দেশ

অনিয়মিত নাগরিকদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলা‌দেশ

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কোনোভাবে অনিয়মিত অভিবাসনের বিষয়টি সমর্থন করে না। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় অনিয়মিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলা‌দেশ।


বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন সৌজন‌্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন উপ‌দেষ্টা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন। সেই চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।


ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সাম্প্রতিক সময়ে জীবন ও সম্পদের ক্ষতির জন্য তার শোক প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা-ভিত্তিক বিদেশি  মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। 

২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং-এর বাংলাদেশে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশিদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের সমর্থন অব্যাহত রাখবে। 


উপদেষ্টা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ক্রমবর্ধমান আয়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপা‌শি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজ করার পরামর্শ দেন। 

উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এই সংকটের কারণে উদ্ভূত অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকি তুলে ধরেন এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপের প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দেন।