• ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

তিস্তা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবে সরকার

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২২ আগস্ট ২০২৪

তিস্তা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবে সরকার

তিস্তা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবে সরকার

তিস্তাসহ অভিন্ন নদীতে নিজেদের অধিকারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রয়োজনে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যাবে সরকার। তিস্তা পাড়ের মানুষের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া পরিবেশ দূষণ রোধে পলিথিন বন্ধে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে অভিযান শুরু এবং নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেয়া হবে না বলেও জানান উপদেষ্টা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী) যেভাবে নিজের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করছেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আমরাও আমাদের মানুষের কথা ভেবে পরবর্তী সিদ্ধান্তে যাব। ভারতের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক বজায় রেখে প্রয়োজনে তিস্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যাবে এই সরকার। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যে আইন আছে ১৯৯৭ সালের সেটায় ৩৬টা অনুস্বাক্ষর লাগত। ১৭ বছর লেগেছে সেটি করতে। এটি বৈশ্বিক বাস্তবতা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। আমরা যত তাড়াতাড়ি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব, ততো তাড়াতাড়ি এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এ প্রকল্পগুলোতে বাজেট সহায়তা দিতে পারবে তারা। আমি বলেছি, বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরো ভালো করা যায়; কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলোর বাস্তবায়নে দূরত্ব বেড়ে যাবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আরো সময়োপযোগী করব, আরো শক্ত করব। কিন্তু একইসঙ্গে কাজে নেমে যেতে হবে। যেমন মানুষকে দেখাতে হবে দূষণকারী কয়জন শাস্তি পাচ্ছে, ময়লা-আবর্জনা নদীর পাড় থেকে সরছে, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নদী রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংক আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। নদী রক্ষায় হাজার কোটি না হলেও ছোট ছোট প্রকল্প নেয়া হবে। দেশের সবচেয়ে দূষিত নদীর তালিকা এবং দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা দিতে এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য কর্মপরিকল্পনা করছি। নতুন করে আর কোনো ইটভাটার লাইসেন্স দেবে না সরকার। সারাদেশে অবৈধ যত ইটভাটা আছে সবগুলো বন্ধ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। খোলা ট্রাকে বালু বা ইট বহন করা যাবে না।

এদিকে রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় লাইসেন্স ছাড়া খামার ও পোষা পাখির দোকান স্থাপন ও পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া শুরু করছে বন বিভাগ। লাইসেন্স ছাড়া খামার ও পেটশপ স্থাপন ও পরিচালনা করা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো ব্যক্তি ওই বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি ১ (এক) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এলক্ষ্যে, পোষা পাখির দোকান মালিকদের জরুরি ভিত্তিতে পোষা পাখির দোকান স্থাপন ও পরিচালনাকারীদের লাইসেন্স নেয়ার জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা ২০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

স/প্র